আমারই মা,মা জননি আমারই সুখের ঠিকানা-মা আমার এক অভিমানী মা- প্যারিস থেকে আমি
আমি আমার মাকে খুব ভালোবাসি। প্রত্যেক সু-সন্তানই তার মাকে ভালোবাসে। সু-সন্তান এজন্য বললাম,আমাদের সমাজে কিছু সন্তান নামক কু-সন্তান আছে যারা তাদের বাবা মাকে ভালোবাসেনা,বা বাবা মায়ের প্রাপ্য অনুযায়ী ভালোবাসা দেয়না।
যারা মায়ের ভালোবাসা পাননি,মায়ের স্নেহভরা,আদরমাখা খুকা ডাক শুনেননি তাদেরকে হতভাগাই বলা যায়।আবার যারা বাবা মাকে পেয়ে,তাদের কাছাকাছি থেকেও তাদেরকে ভালোবাসতে পারেনি তারা চরম হতভাগা।
সে সব বাবা মাকেও আমি হতভাগা বলবো যারা নিজ সন্তান থাকার পরেও অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করেন।রোগ দুঃখে যারা সন্তানের এতটুকুন ভালোবাসা পাননা।
আমি আমার মায়ের কথাই বলছিলাম।এটা নিছক কোন গল্প নয়, আমার বাবার কাহিনীর মত মায়ের কাহিনীটাও আসল সত্য।
আমার মা খুব সহজ সরল একজন মা।বাবাও ছিলেন সহজ সরল এবং অকর্মন্য।আমাদের ছিলো যৌথ ফ্যামেলি। বাবার অকর্মন্যতার সুযোগে যৌথ ফ্যামেলির সকল কাজই আমার মাকে দিয়ে করানো হত।শুধুমাত্র আমরা সন্তানরা যাতে করে পেট ভরে ভাত খেয়ে লেখাপড়া করে বড় হতে পারি এই স্বপ্নে মা আমার সব কাজ করে যেতেন অনায়াসে।
আমার বাবার মত মা ও সব সময় আল্লাহ তায়ালার কাছে কান্নাকাটি আমাদের নিয়ে। সেই ছোটকাল থেকেই দেখেছি মা আমার ফরজ নামাজ আদায় করে, তাহাজ্জুদ পড়ে, কুরআন তেলাওয়াত করে মহান মালিকের দরবারে হাত তুলে শুধু আমাদের সফলতা কামনা করতেন।আজ অবধি মা আমার সেই একই কাজ করে যাচ্ছেন।
তার ছেলে মেয়েরা আজ ইউরোপে অবস্তান করছি।এটা নিশ্চয় আমার বাবা মায়ের দোয়ার বদৌলতে।বাবা মা র দোয়া কখনো বিফলে যায়না।তাইতো কোন সমস্যায় পড়লে, কোন টেনশন দেখা দিলে মাকে ফোন করে বলি, মা তুমি কি দোয়া করা ছেড়ে দিয়েছ ? মা আমার কাদো কাদো সুরে বলেন,কেন বাবা,এটা বলছো কেন । তুমি কি কোন সমস্যায় আছ ? আর কোন মা কি তার সন্তানদের জন্য দোয়া না করে পারে ?
আমরা ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে মা কাকে বেশি মহব্বত করেন সেটা বলা মুশকিল। মাকে জিগ্গেস করলে বলেন সবাইকে তিনি সমান মহব্বত করেন।আমরা ভাই বোনরা জানিনা কাকে বেশি মহব্বত করা হয়। সবাই নিজ নিজ অবস্তান থেকে মনে করি যে মা আমাকেই মহব্বত করেন।
কিন্তু আমি মনে করি আমার মা আমাকেই বেশি মহব্বত করেন।তার একটা কারনও আছে।
কারনটা হলো…
আমার মা খুব অভিমানি। সামান্য কিছুতেই অভিমান করে বসেন।আর তা হয় আমার ক্ষেত্রে বেশি।
আমরা ভাই বোনদের মধ্যে মায়ের সাথে যদি কথা হয় অন্যরা অনেক কিছুই মাকে বললে মা কিছু মনে করেন না। কিন্তু আমি যদি সামান্য কোন কথা একটু বড় করে বলে ফেলি তাহলে মা আমার চটজলদি আমার উপর অভিমান করে বসেন। এ কথাটা তিনি আমার স্ত্রীকেও বলেছেন যে, আমার কথা যদি একটু বড় হয়ে যায় তাহলে তিনি মনে কষ্ট পান যা তার অন্য সন্তানদের বেলায় হয়না।যার কারনে আমিও আমার মায়ের সাথে কথা বলতে হিসেব করেই বলি। না জানি মা আমার কোন কথায় মনে কষ্ট পান।
ইচ্ছে ছিলো মাকে কাছে থেকে সেবা করার। কিন্তু সে সুযোগ কই ? আমরা আছি এই প্রবাসে আর মা আমার পড়ে আছেন আমার সোনার গায়।তবে যথা সম্ভব চেষ্টা করি মায়ের খোজ খবর রাখার ।
মায়ের মত আপন আর কে আছে ? সেই ছোট্ট কাল থেকে তিনি আমাদের বড় করে তুলেছেন পরম আদর স্নেহ আর মায়া মমতা দিয়ে।আমাদের জীবন সুখের হোক এজন্য তার চেষ্টার কোন অন্ত নেই।
সেই মায়ের জন্য সাইফুল্লাহ মানসুরের গাওয়া একটি প্রিয় গান দিয়েই শেষ করব লেখাটা। গানটা হলো….
আমারই মা, মা জননি
আমারই সুখের ঠিকানা।
কান্নাকে হায় আচলে লুকায়
দুঃখকে হায় শুধু ভূলে যায়
সাজাতে আমার আংগিনা।
ছিলাম আমি কি যে অসহায়
দিয়েছো ছায়া মাগো কত মমতায়
আমারই তরে তোমারই দান
হয়না তার তুলনা।
পৃথিবীর সব কিছু শুধু ছলনা
আমি আর আমার মা কেও রবোনা
পরকালে পাই যেন মাকে
এইতো আমার কামনা।
আমি আমার মাকে খুব ভালোবাসি। প্রত্যেক সু-সন্তানই তার মাকে ভালোবাসে। সু-সন্তান এজন্য বললাম,আমাদের সমাজে কিছু সন্তান নামক কু-সন্তান আছে যারা তাদের বাবা মাকে ভালোবাসেনা,বা বাবা মায়ের প্রাপ্য অনুযায়ী ভালোবাসা দেয়না।
যারা মায়ের ভালোবাসা পাননি,মায়ের স্নেহভরা,আদরমাখা খুকা ডাক শুনেননি তাদেরকে হতভাগাই বলা যায়।আবার যারা বাবা মাকে পেয়ে,তাদের কাছাকাছি থেকেও তাদেরকে ভালোবাসতে পারেনি তারা চরম হতভাগা।
সে সব বাবা মাকেও আমি হতভাগা বলবো যারা নিজ সন্তান থাকার পরেও অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করেন।রোগ দুঃখে যারা সন্তানের এতটুকুন ভালোবাসা পাননা।
আমি আমার মায়ের কথাই বলছিলাম।এটা নিছক কোন গল্প নয়, আমার বাবার কাহিনীর মত মায়ের কাহিনীটাও আসল সত্য।
আমার মা খুব সহজ সরল একজন মা।বাবাও ছিলেন সহজ সরল এবং অকর্মন্য।আমাদের ছিলো যৌথ ফ্যামেলি। বাবার অকর্মন্যতার সুযোগে যৌথ ফ্যামেলির সকল কাজই আমার মাকে দিয়ে করানো হত।শুধুমাত্র আমরা সন্তানরা যাতে করে পেট ভরে ভাত খেয়ে লেখাপড়া করে বড় হতে পারি এই স্বপ্নে মা আমার সব কাজ করে যেতেন অনায়াসে।
আমার বাবার মত মা ও সব সময় আল্লাহ তায়ালার কাছে কান্নাকাটি আমাদের নিয়ে। সেই ছোটকাল থেকেই দেখেছি মা আমার ফরজ নামাজ আদায় করে, তাহাজ্জুদ পড়ে, কুরআন তেলাওয়াত করে মহান মালিকের দরবারে হাত তুলে শুধু আমাদের সফলতা কামনা করতেন।আজ অবধি মা আমার সেই একই কাজ করে যাচ্ছেন।
তার ছেলে মেয়েরা আজ ইউরোপে অবস্তান করছি।এটা নিশ্চয় আমার বাবা মায়ের দোয়ার বদৌলতে।বাবা মা র দোয়া কখনো বিফলে যায়না।তাইতো কোন সমস্যায় পড়লে, কোন টেনশন দেখা দিলে মাকে ফোন করে বলি, মা তুমি কি দোয়া করা ছেড়ে দিয়েছ ? মা আমার কাদো কাদো সুরে বলেন,কেন বাবা,এটা বলছো কেন । তুমি কি কোন সমস্যায় আছ ? আর কোন মা কি তার সন্তানদের জন্য দোয়া না করে পারে ?
আমরা ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে মা কাকে বেশি মহব্বত করেন সেটা বলা মুশকিল। মাকে জিগ্গেস করলে বলেন সবাইকে তিনি সমান মহব্বত করেন।আমরা ভাই বোনরা জানিনা কাকে বেশি মহব্বত করা হয়। সবাই নিজ নিজ অবস্তান থেকে মনে করি যে মা আমাকেই মহব্বত করেন।
কিন্তু আমি মনে করি আমার মা আমাকেই বেশি মহব্বত করেন।তার একটা কারনও আছে।
কারনটা হলো…
আমার মা খুব অভিমানি। সামান্য কিছুতেই অভিমান করে বসেন।আর তা হয় আমার ক্ষেত্রে বেশি।
আমরা ভাই বোনদের মধ্যে মায়ের সাথে যদি কথা হয় অন্যরা অনেক কিছুই মাকে বললে মা কিছু মনে করেন না। কিন্তু আমি যদি সামান্য কোন কথা একটু বড় করে বলে ফেলি তাহলে মা আমার চটজলদি আমার উপর অভিমান করে বসেন। এ কথাটা তিনি আমার স্ত্রীকেও বলেছেন যে, আমার কথা যদি একটু বড় হয়ে যায় তাহলে তিনি মনে কষ্ট পান যা তার অন্য সন্তানদের বেলায় হয়না।যার কারনে আমিও আমার মায়ের সাথে কথা বলতে হিসেব করেই বলি। না জানি মা আমার কোন কথায় মনে কষ্ট পান।
সত্য কথা হলো , মা তার একমাত্র মেয়েটাকে কম
মহব্বত করতেন বলে হত। কিন্তু এখন দেখি সেই মেয়ের বাচ্চাদের জন্য তার অনেক
মায়া মহব্বত। স্কাইপিতে কথা বলার সময় আমার বোনের ছেলে মেয়ে দুটা
লেপটোপের সামনে আসলেই মা আমার কান্নাকাটি শুরু করে দেন।
মাকে আমি খুব কষ্ট দিয়েছি। ছোটবেলা আমি প্রায় সময় অসুস্হ থাকতাম। বছরেতো একবার অবশ্যই আমি অসুস্হ হয়ে পড়তাম। মা আমার কতনা টেনশনে পড়তেন।কত ডাক্তার মুল্লা মুনসির কাছে দৌড়িয়েছেন আমার বাৎসরিক রোগটা সরানোর জন্যে।আল হামদুলিল্লাহ এখন আর আমি সে ভাবে বছরান্তে অসুস্হ হইনা। তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার একান্ত মেহেরবানি আর আমার মায়ের পেরেশানি।
যে মা আমাদের জন্য এতকিছু করেছেন আজ তার বৃদ্ধ বয়সে আমরা তার কাছে নেই এ
জন্য খুব কষ্ট পাই মনে।মনের মাঝে একটা শুন্যতা সব সময় বিরাজ করে।মাকে আমি খুব কষ্ট দিয়েছি। ছোটবেলা আমি প্রায় সময় অসুস্হ থাকতাম। বছরেতো একবার অবশ্যই আমি অসুস্হ হয়ে পড়তাম। মা আমার কতনা টেনশনে পড়তেন।কত ডাক্তার মুল্লা মুনসির কাছে দৌড়িয়েছেন আমার বাৎসরিক রোগটা সরানোর জন্যে।আল হামদুলিল্লাহ এখন আর আমি সে ভাবে বছরান্তে অসুস্হ হইনা। তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার একান্ত মেহেরবানি আর আমার মায়ের পেরেশানি।
ইচ্ছে ছিলো মাকে কাছে থেকে সেবা করার। কিন্তু সে সুযোগ কই ? আমরা আছি এই প্রবাসে আর মা আমার পড়ে আছেন আমার সোনার গায়।তবে যথা সম্ভব চেষ্টা করি মায়ের খোজ খবর রাখার ।
মায়ের মত আপন আর কে আছে ? সেই ছোট্ট কাল থেকে তিনি আমাদের বড় করে তুলেছেন পরম আদর স্নেহ আর মায়া মমতা দিয়ে।আমাদের জীবন সুখের হোক এজন্য তার চেষ্টার কোন অন্ত নেই।
সেই মায়ের জন্য সাইফুল্লাহ মানসুরের গাওয়া একটি প্রিয় গান দিয়েই শেষ করব লেখাটা। গানটা হলো….
আমারই মা, মা জননি
আমারই সুখের ঠিকানা।
কান্নাকে হায় আচলে লুকায়
দুঃখকে হায় শুধু ভূলে যায়
সাজাতে আমার আংগিনা।
ছিলাম আমি কি যে অসহায়
দিয়েছো ছায়া মাগো কত মমতায়
আমারই তরে তোমারই দান
হয়না তার তুলনা।
পৃথিবীর সব কিছু শুধু ছলনা
আমি আর আমার মা কেও রবোনা
পরকালে পাই যেন মাকে
এইতো আমার কামনা।
No comments:
Post a Comment