মধুর আমার মায়ের হাসি, চাঁদের মুখে ঝরে
মা’কে মনে পড়ে আমার, মা’কে মনে পড়ে।
মায়ের মুখের হাসি দেখলে সন্তানের সুখ, পরম আনন্দ। মায়ের কান্নায় সন্তানও কাঁদে। হাহাকার
করে ওঠে হৃদয়। ঠিক উল্টোটিও তেমন। সন্তানের সুখে আর দুঃখে যে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত হয় সে তো মা। শুধুই মা। ‘মা’ তো আপন, ‘মা’ তো পরম মমতার, ভালোবাসা আর স্নেহের ভাণ্ডার। মায়ের ভালোবাসার যেন শেষ নেই।
শত দুঃখ-কষ্টেও মা সন্তানকে ফেলতে পারে না। বুকে আগলে রাখে। না খেয়ে খাওয়ায়। বড় মাছ, গোশত সন্তানের থালায় তুলে দেয়। হায়রে মা—কত বিশাল তোমার মন, কত উদার তুমি। মা সারাজীবন তার সন্তানকে আশীর্বাদ করে যান। আর এই আশীর্বাদ যেন বিরামহীন, ক্লান্তিহীন। যতদিন মা বেঁচে থাকেন ততদিন যেন এই আশীর্বাদের স্নেহঝর্ণা প্রবাহিত হতেই থাকে। তাই তো মা’কে নিয়ে কত গান, কত কবিতা, কত গল্প, কত রচনা। তবুও যেন মন ভরে না মায়ের বর্ণনা দিয়ে। ‘মা’ কথাটি অতি ছোট্ট শব্দ। কিন্তু সব ভালোবাসার আধার। সব আকুতি যেন ঝরে পড়ে সে ডাকে। কবি ও কথাসাহিত্যিক শাহনাজ পারভীন মা’কে নিয়ে লিখেছেন এভাবে—
পৃথিবীটা এলো মা এলো বলেই
মা এলো আমার জন্য
মা-ই তো আমার বন্ধু আপন!
সালাম!!! তার জন্য!!!
এই পৃথিবীতে কত চেনা-জানা মানুষ। কত রকম আত্মীয়-পরিজন। মায়ের মতো যেন কেউ নয়। মায়ের মমতার সঙ্গে যেন কারও মমতাকে তুলনাও করা চলে না। মায়ের তুলনা শুধু মা-ই। অনেকেই কথার মাঝে কিছুটা ক্ষণিকের ভালোবাসায় কিঞ্চিত আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন—তিনি মায়ের মতো ভালোবাসেন। আসলে কী তাই? মায়ের মতো করে কী কেউ ভালোবাসেন। কখনোই না। এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষ পৃথিবীতে একজন তিনি হলেন মা। এ দেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার, সুরকার, গীতিকার খান আতাউর রহমান লিখেছেন—
মায়ের মতো আপন কেহ নাই—
মা’ জননী নাই রে যাহার,
ত্রিভুবনে তাহার কেহ নাইরে...
সত্যিই যেন তাই। যার ‘মা’ নেই সে যে কত বড় অভাগা, কতটা কষ্টে, কতটা স্নেহ বিতাড়িত হয়ে বড় হয় তা সেই মা হারা সন্তানই জানে। মায়ের অমোঘ স্নেহ ছায়ায় প্রতিটি সন্তান বড় হোক। পরম শত্রুও যেন মা হারা না হন।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক ড. আলাউদ্দীন আল আজাদ খুব ছোট বেলায় মা’কে হারিয়েছিলেন। তারপর নিকটাত্মীয়ের সান্নিধ্যে স্নেহ-মমতায় বড় হয়েছেন তিনি। কিন্তু মায়ের জন্য যে হাহাকার তা কি কোনো দিন পূরণ হয়? কখনও না। এ হাহাকার, এ বেদনা পূর্ণ হওয়ার নয়। গানে আছে—মায়ের কান্দন যাবত্জীবন...।
এক সময় সবাই ভুলে যায় কিন্তু সন্তানের বেদনায় মা কাঁদে সারাজীবন। তেমনি মা হারা সন্তানও কাঁদে সারাজীবন। এ বেদনা নীরবে নিভৃতে বয়ে চলে। এ কষ্টের যেন শেষ নেই। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস পালন করা হয়। মা’কে ভালোবাসা জানানোর দিন। সাধারণত যেসব দেশে পারিবারিক প্রথা কিছুটা বিঘ্নিত কিংবা নেই, কিংবা বাবা-মা আলাদা থাকেন, তালাক হয়ে গেছে চিরদিনের মতো, সেইসব পরিবারের সন্তানরা একাকী থাকেন কিংবা দত্তক পিতামাতার কাছে থাকেন। সারাজীবন তারা অনেক ক্ষেত্রে নিজের গর্ভধারিণী মাকে দেখার জন্য এবং ভালোবাসা জানানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন। মায়ের একটু সান্নিধ্য পাবার জন্য তাদের মনপ্রাণ ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আমাদের দেশে মা-বাবার সঙ্গে পারিবারিক বন্ধনেই সন্তানরা বড় হয়ে থাকে। তাই একটি বিশেষ দিনে মা’কে ভালোবাসা না দিয়ে আমরা যেন মা’কে প্রতিদিনই ভালোবাসতে পারি। আমরা যেন মায়ের স্নেহের প্রতি কৃতজ্ঞতা আমৃত্যু প্রকাশ করতে পারি। যারা মাকে কাছে পান কিংবা মায়ের সান্নিধ্যেই থাকেন তারা তো পরম ভাগ্যবান। খেয়াল রাখতে হবে মা যেন দুঃখ না পান, কষ্ট না পান। মায়ের বার্ধক্যের একাকিত্বে সন্তানেরই উচিত হবে মাকে সঙ্গ দেয়া। বৃদ্ধ মায়ের কখন কি লাগবে তা খোঁজ-খবর নিতে হবে। সন্তানের কারণে মায়ের মুখে যেন উহ! উচ্চারিত না হয়।
আর জীবনের প্রয়োজনে, কর্মের সন্ধানে, চাকরির ব্যস্ততায় আমরা যারা সময় কাটাই মায়ের কাছ থেকে অনেক দূরে, তারা যেন একটু সময় করে পথ চেয়ে বসে থাকা মা’কে দেখে আসি। মায়ের বুকভরা আশীর্বাদ মাথা পেতে নিয়ে আসতে পারি।
সন্তানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে টান, যে মমতা সে তো নাড়ির টান। সে টান তো একটি বিশেষ দিনের ভালোবাসা দিয়ে শোধ হওয়ার নয়। তারপরও দিনটি যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবেই পালিত হয়, তবে আমরাও না হয় কর্মব্যস্ততা ডিঙিয়ে মায়ের খুব কাছেই থাকব। মা’কে একটি সুন্দর উপহার দেই। মায়ের পছন্দের খাবারটি রান্না করি। ‘মা’ তোমাকে ভালোবাসি। তুমি ‘মা’। তুমি গর্ভধারিণী। তোমাকে কখনোই দুঃখ দেব না। তোমাকে ভালোবাসব প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। তুমি মমতাময়ী, স্নেহপরায়ণ। তোমার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করি সব সময়। বিশ্ব ‘মা’ দিবসে পৃথিবীর সব মায়ের প্রতি ভালোবাসা রইল।
মা’কে মনে পড়ে আমার, মা’কে মনে পড়ে।
মায়ের মুখের হাসি দেখলে সন্তানের সুখ, পরম আনন্দ। মায়ের কান্নায় সন্তানও কাঁদে। হাহাকার
করে ওঠে হৃদয়। ঠিক উল্টোটিও তেমন। সন্তানের সুখে আর দুঃখে যে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত হয় সে তো মা। শুধুই মা। ‘মা’ তো আপন, ‘মা’ তো পরম মমতার, ভালোবাসা আর স্নেহের ভাণ্ডার। মায়ের ভালোবাসার যেন শেষ নেই।
শত দুঃখ-কষ্টেও মা সন্তানকে ফেলতে পারে না। বুকে আগলে রাখে। না খেয়ে খাওয়ায়। বড় মাছ, গোশত সন্তানের থালায় তুলে দেয়। হায়রে মা—কত বিশাল তোমার মন, কত উদার তুমি। মা সারাজীবন তার সন্তানকে আশীর্বাদ করে যান। আর এই আশীর্বাদ যেন বিরামহীন, ক্লান্তিহীন। যতদিন মা বেঁচে থাকেন ততদিন যেন এই আশীর্বাদের স্নেহঝর্ণা প্রবাহিত হতেই থাকে। তাই তো মা’কে নিয়ে কত গান, কত কবিতা, কত গল্প, কত রচনা। তবুও যেন মন ভরে না মায়ের বর্ণনা দিয়ে। ‘মা’ কথাটি অতি ছোট্ট শব্দ। কিন্তু সব ভালোবাসার আধার। সব আকুতি যেন ঝরে পড়ে সে ডাকে। কবি ও কথাসাহিত্যিক শাহনাজ পারভীন মা’কে নিয়ে লিখেছেন এভাবে—
পৃথিবীটা এলো মা এলো বলেই
মা এলো আমার জন্য
মা-ই তো আমার বন্ধু আপন!
সালাম!!! তার জন্য!!!
এই পৃথিবীতে কত চেনা-জানা মানুষ। কত রকম আত্মীয়-পরিজন। মায়ের মতো যেন কেউ নয়। মায়ের মমতার সঙ্গে যেন কারও মমতাকে তুলনাও করা চলে না। মায়ের তুলনা শুধু মা-ই। অনেকেই কথার মাঝে কিছুটা ক্ষণিকের ভালোবাসায় কিঞ্চিত আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন—তিনি মায়ের মতো ভালোবাসেন। আসলে কী তাই? মায়ের মতো করে কী কেউ ভালোবাসেন। কখনোই না। এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষ পৃথিবীতে একজন তিনি হলেন মা। এ দেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার, সুরকার, গীতিকার খান আতাউর রহমান লিখেছেন—
মায়ের মতো আপন কেহ নাই—
মা’ জননী নাই রে যাহার,
ত্রিভুবনে তাহার কেহ নাইরে...
সত্যিই যেন তাই। যার ‘মা’ নেই সে যে কত বড় অভাগা, কতটা কষ্টে, কতটা স্নেহ বিতাড়িত হয়ে বড় হয় তা সেই মা হারা সন্তানই জানে। মায়ের অমোঘ স্নেহ ছায়ায় প্রতিটি সন্তান বড় হোক। পরম শত্রুও যেন মা হারা না হন।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক ড. আলাউদ্দীন আল আজাদ খুব ছোট বেলায় মা’কে হারিয়েছিলেন। তারপর নিকটাত্মীয়ের সান্নিধ্যে স্নেহ-মমতায় বড় হয়েছেন তিনি। কিন্তু মায়ের জন্য যে হাহাকার তা কি কোনো দিন পূরণ হয়? কখনও না। এ হাহাকার, এ বেদনা পূর্ণ হওয়ার নয়। গানে আছে—মায়ের কান্দন যাবত্জীবন...।
এক সময় সবাই ভুলে যায় কিন্তু সন্তানের বেদনায় মা কাঁদে সারাজীবন। তেমনি মা হারা সন্তানও কাঁদে সারাজীবন। এ বেদনা নীরবে নিভৃতে বয়ে চলে। এ কষ্টের যেন শেষ নেই। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস পালন করা হয়। মা’কে ভালোবাসা জানানোর দিন। সাধারণত যেসব দেশে পারিবারিক প্রথা কিছুটা বিঘ্নিত কিংবা নেই, কিংবা বাবা-মা আলাদা থাকেন, তালাক হয়ে গেছে চিরদিনের মতো, সেইসব পরিবারের সন্তানরা একাকী থাকেন কিংবা দত্তক পিতামাতার কাছে থাকেন। সারাজীবন তারা অনেক ক্ষেত্রে নিজের গর্ভধারিণী মাকে দেখার জন্য এবং ভালোবাসা জানানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন। মায়ের একটু সান্নিধ্য পাবার জন্য তাদের মনপ্রাণ ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আমাদের দেশে মা-বাবার সঙ্গে পারিবারিক বন্ধনেই সন্তানরা বড় হয়ে থাকে। তাই একটি বিশেষ দিনে মা’কে ভালোবাসা না দিয়ে আমরা যেন মা’কে প্রতিদিনই ভালোবাসতে পারি। আমরা যেন মায়ের স্নেহের প্রতি কৃতজ্ঞতা আমৃত্যু প্রকাশ করতে পারি। যারা মাকে কাছে পান কিংবা মায়ের সান্নিধ্যেই থাকেন তারা তো পরম ভাগ্যবান। খেয়াল রাখতে হবে মা যেন দুঃখ না পান, কষ্ট না পান। মায়ের বার্ধক্যের একাকিত্বে সন্তানেরই উচিত হবে মাকে সঙ্গ দেয়া। বৃদ্ধ মায়ের কখন কি লাগবে তা খোঁজ-খবর নিতে হবে। সন্তানের কারণে মায়ের মুখে যেন উহ! উচ্চারিত না হয়।
আর জীবনের প্রয়োজনে, কর্মের সন্ধানে, চাকরির ব্যস্ততায় আমরা যারা সময় কাটাই মায়ের কাছ থেকে অনেক দূরে, তারা যেন একটু সময় করে পথ চেয়ে বসে থাকা মা’কে দেখে আসি। মায়ের বুকভরা আশীর্বাদ মাথা পেতে নিয়ে আসতে পারি।
সন্তানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে টান, যে মমতা সে তো নাড়ির টান। সে টান তো একটি বিশেষ দিনের ভালোবাসা দিয়ে শোধ হওয়ার নয়। তারপরও দিনটি যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবেই পালিত হয়, তবে আমরাও না হয় কর্মব্যস্ততা ডিঙিয়ে মায়ের খুব কাছেই থাকব। মা’কে একটি সুন্দর উপহার দেই। মায়ের পছন্দের খাবারটি রান্না করি। ‘মা’ তোমাকে ভালোবাসি। তুমি ‘মা’। তুমি গর্ভধারিণী। তোমাকে কখনোই দুঃখ দেব না। তোমাকে ভালোবাসব প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। তুমি মমতাময়ী, স্নেহপরায়ণ। তোমার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করি সব সময়। বিশ্ব ‘মা’ দিবসে পৃথিবীর সব মায়ের প্রতি ভালোবাসা রইল।
No comments:
Post a Comment